পশ্চিমবঙ্গের রেশন কার্ডের নতুন নিয়ম ২০২৫
পশ্চিমবঙ্গ সরকার সাধারণ মানুষের খাদ্য নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে রেশন কার্ড ব্যবস্থায় বেশ কিছু নতুন পরিবর্তন এনেছে। এসব পরিবর্তনের লক্ষ্য হলো—
- যাদের প্রকৃত প্রয়োজন আছে, তাদের হাতে রেশন পৌঁছে দেওয়া।
- ভুয়া বা ডুপ্লিকেট রেশন কার্ড বন্ধ করা।
- ডিজিটাল সিস্টেমের মাধ্যমে সঠিকভাবে তথ্য সংরক্ষণ করা।
১. রেশন কার্ড লিঙ্কিং ও আধার যাচাই
এখন প্রতিটি রেশন কার্ডকে আধার নম্বরের সঙ্গে বাধ্যতামূলকভাবে লিঙ্ক করতে হবে।
- যদি পরিবারের কোনো সদস্যের আধার লিঙ্ক না হয়, তবে সেই সদস্যের রেশন সুবিধা বন্ধ হতে পারে।
- আধার লিঙ্ক করার জন্য স্থানীয় রেশন অফিস বা কমন সার্ভিস সেন্টারে (CSC) গিয়ে বায়োমেট্রিক যাচাই করতে হবে।
২. ডুপ্লিকেট ও ভুয়া কার্ড বাতিল
সরকার খুঁজে বের করছে যাদের একাধিক রেশন কার্ড আছে বা যারা রেশন সুবিধা পাওয়ার যোগ্য নন, তাদের কার্ড বাতিল করা হবে।
- যদি ভুলবশত আপনার কার্ড বাতিল হয়, তবে নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে আপিল করতে পারবেন।
৩. অনলাইন পরিষেবা
পশ্চিমবঙ্গ খাদ্য ও সরবরাহ দপ্তর (WBPDS) এখন অনলাইন রেশন পরিষেবা আরও সহজ করেছে।
- নতুন কার্ডের জন্য আবেদন, নাম সংযোজন বা বাদ দেওয়া, ঠিকানা পরিবর্তন—সব অনলাইনে করা যাবে।
- অফিসিয়াল ওয়েবসাইট: wbpds.wb.gov.in
৪. NFSA ও রাজ্য স্কিমের সুবিধা
যারা ন্যাশনাল ফুড সিকিউরিটি অ্যাক্ট (NFSA) এবং রাজ্যের নিজস্ব খাদ্য নিরাপত্তা স্কিমের আওতায় আছেন, তারা—
- মাসে নির্দিষ্ট পরিমাণ চাল ও গম অত্যন্ত কম দামে পাবেন (১ টাকা বা ফ্রি)।
- BPL ও AAY পরিবারগুলো সর্বাধিক সুবিধা পাবে।
৫. পোর্টেবিলিটি সুবিধা
এখন “One Nation One Ration Card” প্রকল্পের আওতায়, পশ্চিমবঙ্গের রেশন কার্ডধারীরা ভারতের যেকোনো রাজ্যে গিয়ে রেশন তুলতে পারবেন।
- এটি বিশেষভাবে উপকার করবে যারা কাজের জন্য অন্য রাজ্যে যান।
৬. ডেডলাইন ও সতর্কবার্তা
- আধার লিঙ্কিং ও তথ্য হালনাগাদ করার শেষ তারিখ সরকার আগে থেকেই জানিয়ে দেয়।
- নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে কাজ সম্পন্ন না করলে রেশন সুবিধা বন্ধ হতে পারে।
পশ্চিমবঙ্গের নতুন রেশন কার্ড নিয়ম মূলত স্বচ্ছতা ও সঠিক বণ্টন নিশ্চিত করতে তৈরি হয়েছে। আপনার রেশন কার্ড সক্রিয় রাখতে হলে—
- আধার লিঙ্ক করুন।
- তথ্য আপডেট রাখুন।
- অনলাইন সিস্টেম ব্যবহার করে সময়মতো পরিবর্তন বা আবেদন করুন।
এতে আপনার রেশন সুবিধা অব্যাহত থাকবে এবং প্রকৃত উপকারভোগীরা তাদের অধিকার পাবেন।